কলকাতার ফুডপাথ
![Image](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhobNyflXtotfoKWM_g5rpxQjlGR2uarWwkVRfHGZbSl5Hfgr1-pSqhIeHgKbB2nBDmfc2Mjlkes249w9fg8epeXyco-6-Lm2H0OfMhTe9RDN1zSfpDuW3cQjl5i5_-H5_RtSws43rteyI/s320/FB_IMG_1566620371422.jpg)
কলকাতার ফুডপাথ প্রথম পর্ব একটা সময় ছিল, প্রায় উনিশ শতকের গোড়ার দিকে, যখন কলকাতার স্ট্রিট ফুড বলতে ছিল বাদাম বা ছোলা ভাজা, মশলামুড়ি, ঝালমুড়ি, আলুরচপ, পেঁয়াজি, ফুলুরি, বাদামের চাক, মাংসের ঘুগনি, আলুর দম বা নিদেনপক্ষে চানাচুর অথবা কুলফি বরফ। তারও আগে, একটু বেলা বাড়লেই, মাথায় কলাইয়ের বড় ডেকচি বা রেকাবি মাথায় হাঁক দিয়ে যেত হরেকরকমের ফিরিওয়ালা। তাদের ঐ বিরাট ডেকচি থেকে বেরিয়ে পড়ত বেলমোরব্বা, সন্দেশ, নারকোলছাপা, ক্ষীর, নাড়ু আর মুড়কির মোয়া। তারপর ১৯৩০'এর আশেপাশে আবিষ্কার হল কাঠি রোল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকান সৈন্যদের জন্য কলকাতায় এলো নতুন নতুন খাবার... চাইনিজ চিলি চিকেন, চাউমিন, ফ্রায়েড রাইস। ৫০'এর দশকে দলাই লামা আর তিব্বতিদের কল্যাণে মোমো, থুকপার অনুপ্রবেশ কলকাতার ফুড ম্যাপকে বদলে দিল আমূল। আরও পরে এদেশি কচুরি, সিঙাড়া, চপ, অমৃতির একাধিপত্যে ভাগ বসালেন বিহারি-মারওয়ারি সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ীরা। কলকাতায় এল খাস্তা, দইবড়া, ফুচকা, পাওভাজি, ভেলপুড়ি, পাপড়িচাট। আর আজকের দিনে কলকাতায় পাওয়া যায় না এমন স্ট্রিটফুড আদৌ এক্সিস্ট করে কিনা সে সম্পর্কে যথেষ্ট সন্দেহ আছে! এই যে পাড়ার মোড়